Get Mystery Box with random crypto!

আজ বাইশে শ্রাবণ! অগস্টের ছয় তারিখ, জোড়াসাঁকোর বাড়ি মানুষের ভি | Bangladesh

আজ বাইশে শ্রাবণ!
অগস্টের ছয় তারিখ, জোড়াসাঁকোর বাড়ি মানুষের ভিড়ে ভরে গেল। কবির মৃত্যু-সম্ভবনা প্রবল হয়েছে, খবর রটতেই মানুষ দলে দলে ছুটছে জোড়াসাঁকোয়। ভিড় ঠেকানো যাচ্ছে না কিছুতেই।
বিভ্রান্ত রানী মহালানবিশ রথীবাবুর অনুমতি নিয়ে কবিরাজ বিমলানন্দকে ডেকে আনতে গেলেন। উনি বললেন, "আমার কাছ থেকে মানুষটাকে কেড়ে নিয়ে অপারেশন করালে। এখন তো আমার কিছুই করার নেই।"
রানী কাতর ভাবে বললেন, "একবার শেষ চেষ্টা করুন না!"
বিমলানন্দ বললেন, "শেষ চেষ্টা করতে গেলে আগে ওই এম.বি.৬৯৩ ওষুধটা বন্ধ করতে হবে। নাহলে আমি ওষুধ দিলে কাজ হবে না, আরও খারাপ হবে।"
রথীন্দ্রনাথ এই বৃত্তান্ত শুনে রানীকে বললেন, বিধানচন্দ্র রায়কে গিয়ে কবিরাজ মশাইয়ের কথাটা জানাতে। বিধানচন্দ্র রায় সব শুনে খেপে লাল। রানীকে ধমক দিলেন। সেই সঙ্গে বললেন, "কবির এই রকম অবস্থায় একদিনের জন্যও এম. বি. বন্ধ করা যাবে না। আমার মতে আরও বেশি ডোজে দেওয়া উচিত হবে।"
বিফল-মনোরথ রানী মুখ কালো করে ফিরে এলেন। তাঁর বাড়িতে স্বামী গুরুতর অসুস্থ। এদিকে রবীন্দ্রনাথ। প্রতিদিন বেলঘরিয়া-জোড়াসাঁকো করে তিনি ক্লান্ত। বিশেষত স্নায়ুচাপে বিধ্বস্ত। তাঁকে ভেঙে পড়তে দেখে কবিকন্যা মীরাদেবী বললেন, "তুমি ভাই এবার বাড়ি যাও। প্রশান্ত অসুস্থ, সে একা রয়েছে।"
ছলছল চোখে রানী বললেন, "আমি যে কবিকে কথা দিয়েছিলাম শেষ পর্যন্ত ওঁর কাছে থাকব।"
মীরাদেবী সস্নেহে বললেন, "তুমি যাও। সেরকম সময় যদি হঠাত্‍ উপস্থিত হয়, আমি তোমাকে ফোন করে ডেকে নেব।"