ত ঘটনাটি ঘটল। হুজুগে জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ল কবির মৃতদেহের ওপর। স্মারক নেওয়ার কাড়াকাড়িতে লুঠ হল মহামানবের মৃতদেহ। শ্বেতকমল, রজনীগন্ধার সজ্জা নষ্ট হয়ে গেল মুহূর্তে। শান্তিনিকেতন আর কলকাতার পার্থক্য বোঝা গেল তখনই। অবশিষ্ট চুল-দাড়িও ছিঁড়ে নিচ্ছে কি নিষ্ঠুর জনগণ? সন্ধ্যা ৬টা ৩০মিনিটে শোভাযাত্রা নিমতলা শ্মশানঘাটে পৌঁছায় এবং বিশেষভাবে নির্মিত চিতায় গুরুদেবের দেহ ভস্মীভূত করা হয়। রথীন্দ্রনাথ জনতার বিপুল ভীড়ের কারণে কোনোভাবেই নিমতলা শ্মশানঘাটে পৌঁছাতে পারলেন না। ভীড় ঠেলে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে জোড়াসাঁকো ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাধ্য হয়ে গুরুদেবের মেজদাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্র সুবীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর কবির মুখাগ্নি করেন। মৃত্যুটি রচনা করতে চেয়েছিলেন কবি নির্জনে। চেয়েছিলেন তাঁর দেহ মিশে যাবে শান্তিনিকেতনের মাটিতে। গঙ্গার দিক থেকে আচমকা যে বাতাসের ঢেউ এল, তা নিশ্চিত কবিরই দীর্ঘশ্বাস॥